ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল
প্রস্তাবনা
সংবাদ মাধ্যমের বার্তা বিভাগে কর্মরত সাব-এডিটরগণ দায়িত্ব, কর্তব্য, কাজের সময় আর ডেটলাইনের ছকে বাঁধা। সঙ্গত কারণেই তাদের সামাজিক জীবন অনেকাংশে উপেক্ষিত। পেশাগত জীবনেও তারা নানা বঞ্চনার শিকার, যার বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ অবস্থার অবসান ঘটানো আবশ্যক। পাশাপাশি যুগ চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকতা ইদানীং এক চ্যালেঞ্জিং পেশায় পরিণত হয়েছে। সাব-এডিটরদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ চ্যালেঞ্জে সাফল্য অর্জন সম্ভব। সেব লক্ষ্য বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে একটি সংগঠন গড়ে তোলার প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছিল দীর্ঘদিন থেকে।
সে লক্ষ্যে ৭ ডিসেম্বর ২০০০ তারিখে জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন দৈনিক, সাপ্তাহিক ও সংবাদ সংস্থার সাব-এডিটরদের এক সভায় ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল (Dhaka Sub Editors Council) সংক্ষেপে ডিএসইসি গঠন করা হয়। সভায় সংগঠন পরিচালনার জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়, যা প্রথম কার্যনির্বাহী পরিষদ হিসেবে কাজ করে। আহ্বায়ক কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গঠিত গঠনতন্ত্র প্রণয়ন উপ-কমিটি প্রণীত খসড়া গঠনতন্ত্র ১৫ আগস্ট ২০০১ তারিখে অনুষ্ঠিত বিশেস সাধারণ সভায় ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল-এর গঠনতন্ত্র হিসেবে গৃহীত হয়। পরবর্তী সময়ে গঠনতন্ত্রের সংশোধনী ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় অনুমোদন করা হয়। বর্তমান বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে আবার গঠনতন্ত্রের কয়েকটি ধারায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হয়েছে। সংশোধনীসহ গঠনতন্ত্রের পূর্ণ বিবরণ নিম্নরূপ :
১. পরিচয়
এই সংগঠনের নাম ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল।
ঢাকায় কর্মরত সকল জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিক সংবাদপত্র, বার্তা সংস্থা, দেশি ও বিদেশি সংবাদমাধ্যমের সাব-এডিটরদের নিয়ে এই সংগঠন গঠিত। এই সংগঠনের স্থায়ী কার্যালয় থাকবে ঢাকা।
২. লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
ক. সাব-এডিটরদের দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রতিভা বিকাশ, পেশাগত মান উন্নয়ন, মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ও স্বার্থ রক্ষা।
খ. বস্তুনিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার বিকাশ।
গ. সংগঠনের সদস্যদের কল্যাণে কর্মসূচি ও পদক্ষেপ গ্রহণ।
ঘ. পারস্পরিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ও সাংস্কৃতিক মান উন্নয়ন।
৩. সদস্য
এই সংগঠনে দুই ধরনের সদস্যপদ থাকবে।
ক. স্থায়ী সদস্য :
জাতীয় দৈনিক, বার্তা সংস্থা, টেলিভিশন চ্যানেল, সরকার অনুমোদিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল, দেশি ও বিদেশি সংবাদমাধ্যমে কমপক্ষে দুই বছর ধরে কর্মরত সার্বক্ষণিক সাব-এডিটর এবং সাব-এডিটর থেকে পদোন্নতিপ্রাপ্ত এবং নিউজরুম এডিটর, নিউজরুম এডিটর থেকে পদোন্নতিপ্রাপ্ত সাংবাদিকতার অন্য শাখায় কর্মরত, যদি তিনি নিয়োগকর্তা না হন, এই সংগঠনের স্থায়ী সদস্য হতে পারবেন।
খ. স্থায়ী সদস্যরা তার সদস্যপদ প্রাপ্তির এক বছর পূর্ণ হলে তিনি ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। সদস্যপদ পেতে আগ্রহীরা নির্ধারিত ফরম পূরণ ও ফি জমা দিয়ে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনপত্রের সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও নিয়োগপত্র/পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে।
গ. সম্মানিত সদস্য :
১) সংগঠনের সদস্য যদি সাংবাদিকতা পেশা থেকে অবসর নিয়ে অন্য পেশায় যোগদান করেন, তাহলে তিনি এই সংগঠনের সম্মানিত সদস্য হতে পারবেন।। ২) এই গঠনতন্ত্রের বিধানাবলি সাপেক্ষে যে কোন সম্মানিত সদস্য সংগঠনের সকল সুযোগ-সুবিধা ও অধিকার ভোগ করতে পারবেন। কিন্তু ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না।
ঘ. কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অথবা এর বাইরের সদস্যদের সমন্বয়ে ৫ সদস্যের একটি সদস্যপদ বছাই কমিটি থাকবে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য কার্যনির্বাহী কমিটি থেকেই হবে। নব-নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় এই কমিটি গঠিত হবে। সাংগঠনিক সম্পাদক পদাধিকার বলে বাছাই কমিটির আহŸায়ক হবেন।
ঙ. ১. বাছাই কমিটি বছরে অন্তত দু’বার বৈঠকে বসে সদস্যপদের আবেদনপত্র বাছাই করবে।
২. খসড়া তালিকা প্রণয়নের দু’দিনের মধ্যে বাছাই কমিটি তা সাধারণ সদস্যদের অবগতি, আপত্তি ও মতামত গ্রহণের জন্য সুবিধাজনক প্রকাশ্য স্থানে ৭ দিনের জন্য টানিয়ে রাখবে। এ সম্পর্কে কোন আপত্তি বা মতামত পাওয়া গেলে তা পর্যালোচনা করে মন্তব্যসহ বাছাই কমিটির খসড়া তালিকাটি নির্বাহী কমিটির কাছে প্রেরিত হবে। নির্বাহী কমিটির পরবর্তী সভায় তা উত্থাপন করা হবে। নির্বাহী কমিটি সদস্যপদ চূড়ান্ত করবে।
৪. সদস্যপদ পরিবর্তন/বাতিল/স্থগিত
ক. কেউ সাব-এডিটর হিসেবে পেশা ত্যাগ করলে সদস্যপদ থাকবে না। তবে কোন সদস্য সাময়িকভাবে বেকার হলে তার সদস্যপদ এক বছর বহাল থাকবে। কোন সদস্য এক বছর চাঁদা বকেয়া রাখলে তার সদস্যপদ স্থগিত থাকবে। তিনি বকেয়া পরিশোধ করলে সদস্যপদ পুনর্বহাল হবে। কোন সদস্য তিন বছর চাঁদা পরিশোধ না করলে তার সদস্যপদ বাতিল হবে।
খ. গঠনতন্ত্রের বিধান মতে কোন সদস্যের সদস্যপদ স্থগিত বা বাতিলযোগ্য কি-না, তা বাছাই কমিটি পরীক্ষা করে কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে রিপোর্ট করবে। কার্যনির্বাহী কমিটি এই রিপোর্ট পর্যালোচনা ও তদন্ত করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
গ. কোন সদস্যের বিরুদ্ধে সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য লঙ্ঘন ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কোন অভিযোগ এলে সে বিষয়ে তদন্তের জন্য কার্যনির্বাহী কমিটি অনধিক পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে। তদন্ত কমিটি অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেবে। তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে কার্যনির্বাহী কমিটি সংশ্লিষ্ট সদস্যকে সভায় উপস্থিত হয়ে বক্তব্য পেশের সুযোগ দেবে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ও সদস্যের বক্তব্যের ভিত্তিতে নির্বাহী কমিটি সংশ্লিষ্ট সদস্যের সদস্যপদ স্থগিত বা বাতিল করতে অথবা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিতে পারবে। গঠনতন্ত্রবিরোধী কোন কাজ করলে যে কোন সদস্যের বিরুদ্ধে জরুরি কার্যনির্বাহী কমিটি যে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আগে উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে আলোচনা করবে। তবে কার্যনির্বাহী কমিটির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট সদস্যের কোন আপত্তি থাকলে তিনি বার্ষিক সাধারণ সভা বা বিশেষ সাধারণ সভার কাছে আপিল করতে পারবেন। সাধারণ সভা বা বিশেষ সাধারণ সভা এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
ঘ. গুরুতর কোন পরিস্থিতির উদ্ভব হলে কিংবা কার্যনির্বাহী কমিটি কোন সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হলে বিষয়টি সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদ সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে বিষয়টি সুরহা করবে।
৫. চাঁদা ও তহবিল
ক. সদস্য চাঁদা, শুভানুধ্যায়ীদের অনুদান ও এককালীন সাহায্য এবং সাময়িকী প্রকাশের মাধ্যমে সংগঠনের তহবিল গঠিত হবে। তহবিল ব্যাংকে রক্ষিত থাকবে। সাধারণ সম্পাদকের তত্ত¡াবধানে সংগঠনের জরুরি ব্যয় নির্বাহের জন্যে অফিসে নগদ পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত রাখা যাবে।
খ. সদস্যপদের জন্য চাঁদা হবে মাসিক ১৫(পনের) টাকা এবং বার্ষিক ১৮০ (একশ’ আশি) টাকা।
গ. সংগঠনের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকবে যা কোষাধ্যক্ষসহ সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে।
ঘ. সংগঠনের অর্থনৈতিক সকল কর্মকাÐ ও আয়-ব্যয়ের হিসাব থাকবে। সাধারণ সভায় কোষাধ্যক্ষ হিসাবের অডিট রিপোর্ট পেশ করবেন। তবে কার্যনির্বাহী কমিটির প্রত্যেকটি সভায় পূর্ববর্তী সময়ের আয়-ব্যয় সম্পর্কে কমিটির সদস্যদের অবহিত করতে হবে।
৬. সাংগঠনিক কাঠামো
ক. সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৯ সদস্যের একটি কার্যনির্বাহী কমিটি থাকবে। কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ হবে দুই বছর যা নির্বাচনের পর দায়িত্ব গ্রহণের দিন থেকে গণনা করা হবে।
খ. কার্যনির্বাহী কমিটিতে একজন সভাপতি, একজন সহ-সভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদক, একজন যুগ্ম-সম্পাদক, একজন কোষাধ্যক্ষ, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন দফতর সম্পাদক, একজন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, একজন প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক, একজন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক, একজন কল্যাণ সম্পাদক, একজন নারী বিষয়ক সম্পাদক এবং ৭ জন কার্যনির্বাহী সদস্য থাকবেন। বিদায়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পরবর্তী কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হবেন। তবে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে হেরে গেলে এ সুযোগ তারা পাবেন না।
গ. পদত্যাগ বা অন্য কোন কারণে সভাপতির পদ শূন্য হলে সহ-সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের পদ শূন্য হলে যুগ্ম-সম্পাদক দায়িত্ব পালন করবেন। অনুরূপভাবে সহ-সভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক অথবা সম্পাদকের কোন পদ শূন্য হলে কার্যনির্বাহী কমিটির মধ্য হতে সেই পদ পূরণ করা হবে। কোন পদ শূন্য হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে ঐ পদ পূরণ করতে হবে।
ঘ. যদি কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যসংখ্যা কোন কারণে ১৪-এর কম হয়ে পড়ে তবে কমিটি প্রয়োজনে সাধারণ সদস্যদের মধ্য থেকে অনধিক দু’জনকে কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে কো-অপ্ট করতে পারবে। তবে মোট সদস্য সংখ্যা কিছুতেই জোড়সংখ্যক হতে পারবে না।
৭. কার্যনির্বাহী কমিটির কার্যক্রম
ক. কার্যনির্বাহী কমিটি প্রতি মাসে অন্তত একবার সভায় মিলিত হবে।
খ. সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সভাপতির সঙ্গে আলোচনাক্রমে অন্তত তিনদিনের নোটিশ কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আহŸান করতে পারবেন। তবে জরুরি পরিস্থিতিতে চব্বিশ ঘণ্টার নোটিশে জরুরি সভা আহŸান করা যাবে। সভাপতি প্রতিটি সভায় নিয়মিত সভাপতিত্ব করবেন।
গ. সভাপতির অনুপস্থিতিতে সব-সভাপতি দায়িত্ব পালন করবেন। সভাপতি ও সহ-সভাপতি দু’জনই অনুপস্থিত থাকলে কার্যনির্বাহী কমিটির একজন সিনিয়র সদস্য সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
ঘ. সাধারণ সম্পাদক কমিটির সভা আহŸান না করলে যে কোন পাঁচজন কর্মকর্তা বা নির্বাহী সদস্যের লিখিত দাবিতে সভাপতি সরাসরি অথবা সভাপতির অসম্মিতে ১১ (এগার) জন সদস্য বা কর্মকর্তা যৌথ স্বাক্ষরে কার্যনির্বাহী কমিটির তলবি সভা আহŸান করতে পারবেন।
ঙ. কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তের সংগঠনের সকল ব্যয় নির্বাহ হবে। কোষাধ্যক্ষ যাবতীয় ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ করবেন।
চ. কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিকে সভার কোরাম হিসেবে গণ্য করা হবে।
ছ. কার্যনির্বাহী কমিটির সকল কর্মকর্তা ও সদস্য তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন ও কমিটিতে গৃহীত সিদ্ধান্ত মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন। অন্যথায় কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে।
জ. যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আলোচনার ভিত্তিতে সমঝোতাকে প্রাধান্য দেয়া হবে। মতপার্থক্য বজায় থাকলে সংখ্যাগরিষ্ঠের অভিমতে এবং প্রয়োজনে সভাপতির নির্ধারণীমূলক একক ভোট যুক্ত করে কার্যনির্বাহী কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
ঝ. সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ শূন্য হলে তাদের মেয়াদ যদি নির্ধারিত সময়ের অর্ধেকের বেশি বাকি থাকে সেক্ষেত্রে এসব পদে নতুন নির্বাচন হবে। অর্ধেকের কম মেয়াদ থাকলে যথাক্রমে সহ-সভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদক এসব শূন্য পদে দায়িত্ব পালন করবেন। সম্পাদকমÐলীর অন্য কোন পদ খালি হলে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের মধ্য থেকে তা পূরণ করা হবে। আর নির্বাহী কমিটির সদস্যপদ শূন্য হলে সেই পদে সদস্যদের মধ্য থেকে কো-অপ্ট করা হবে।
ঞ. প্রতি সভার কার্যবিবরণী ও সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ থাকবে। সাধারণ সম্পাদকের তত্ত¡াবধানে দফতর সম্পাদক এসব কার্যবিবরণী ও সিদ্ধান্ত সংরক্ষণ করবেন। তিনটি সভায় নির্বাহী কমিটির কোন কর্মকর্তা বা সদস্য অনুপস্থিত থাকলে তার পদ বাতিল করা যেতে পারে। কারণ দর্শানোর পর নির্বাহী কমিটি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
ট. চাঁদা ও অনুদানের টাকা কোষাধ্যক্ষের স্বাক্ষরে গৃহীত হবে এবং কোষাধ্যক্ষের কাছে তা জমা দিতে হবে। কোষাধ্যক্ষ চাঁদা পরিশোধ করা সদস্যদের তালিকা সংরক্ষণ করবেন এবং নির্বাচনের অন্তত একমাস আগে সাধারণ সম্পাদকের কাছে এ তালিকা পেশ করবেন যা পরবর্তী সময়ে ভোট প্রদানের যোগ্য তালিকা তৈরিতে নির্বাহী কমিটির কাছে উপস্থাপন করা হবে। সাংগঠনিক সম্পাদক মূলত নতুন সদস্য সংগ্রহ এবং সংগঠনের মর্যাদা রক্ষা ও ভিত শক্তিশালী করে এমন কর্মকর্তা করে এমন কর্মকাÐ গ্রহণ ও পরিচালনা করবেন। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সংগঠনের মুখপাত্র, বার্ষিক ম্যাগাজিন ও অন্যান্য প্রকাশনা নিয়মিত প্রকাশ, প্রচার ও সম্পাদনায় মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদকের পরামর্শে দফতর সম্পাদক প্রেস বিজ্ঞপ্তি তৈরি করবেন এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তা সংবাদমাধ্যমে পাঠানোর ব্যবস্থা নেবেন। সংগঠনের সদস্যদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও মান উন্নয়নে প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক নানা প্রশিক্ষণ ও গবেষণামূলক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবেন। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি জোরদার এবং সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক মান উন্নয়নে ক্রীড়া ও সাহিত্য প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সেমিনার, প্রদর্শনী ইত্যাদির আয়োজন করবেন। সদস্যদের কল্যাণমূলক কার্যক্রমে দায়িত্ব পালন করবেন কল্যাণ সম্পাদক, পদাধিকার বলে কল্যাণ ফান্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট হবেন তিনি। নারী বিষয়ক সম্পাদক নারী স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে দায়িত্ব পালন করবেন।
ঠ. উপদেষ্টা পরিষদ গঠন : জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সংগঠনের ৫ জন সাবেক সভাপতিকে নিয়ে উপদেষ্টা কমিটি গঠিত হবে।
৮. কার্যনির্বাহী কমিটির কার্যক্ষমতা
ক. সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কার্যনির্বাহী কমিটি প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে। সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করবেন।
খ. সাব-এডিটরস কাউন্সিল সাধারণ ট্রেড ইউনিয়নের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে না। তবে সাব-এডিটরদের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করবে।
গ. সংগঠন দলীয় রাজনৈতিক বিরোধ বা বিতর্কে যুক্ত হবে না। ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের নাম ব্যবহার করে সংগঠনের কোন কর্মকর্তা বা নির্বাচিত সদস্য রাজনৈতিক বক্তব্য বা রাজনৈতিক প্লাটফর্মে বক্তৃতা দিতে পারবেন না।
৯. সাধারণ সভা
ক. প্রতি এক বছর অন্তর সম্মেলন ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে সাধারণ সভা ছাড়াও মধ্যবর্তী সময়ে প্রয়োজনবোধে একবার বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
খ. বার্ষিক ও বিশেষ সাধারণ সভার ক্ষেত্রে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ পূর্বে সভা আহŸানের নোটিশ দিতে হবে।
গ. মোট সাধারণ সদস্যের এক-পঞ্চমাংশ সদস্যের উপস্থিতি কোরাম হিসাবে গণ্য হবে। উপস্থিত সদস্যের অধিকাংশের ভোটে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।
ঘ. সাধারণ ভাবে ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের কমপক্ষে দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। কার্যনির্বাহী কমিটি প্রথম বছরে একটি সাধারণ সভার আয়োজন করবে। তবে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা রাষ্ট্রীয় বিধিনিশেধ, রাজনৈতিক পরিস্থিতির উদ্ভব হলে কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে সাধারণ সভা ও নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করা যাবে।
ঙ. কোন নির্দিষ্ট ও যথাযথ কারণ ছাড়াই যদি কার্যনির্বাহী কমিটি যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হয়, তবে দুই বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দিন থেকেই কার্যনির্বাহী কমিটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদ অনধিক দুই মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
১০. অনাস্থা/তলবি সভা
ক. কার্যনির্বাহী কমিটির কোন কর্মকর্তা বা সদস্যের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে হলে বা তলবি সভা ডাকতে হলে এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের স্বাক্ষরে তলবি বা অনাস্থা প্রস্তাবের জন্য সভা ডাকা যাবে।
খ. উভয় ক্ষেত্রে মোট সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশের ভোটে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।
গ. সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাকের কাছে লিখিতভাবে অনাস্থা বা তলবি সভায় পেশ করতে হবে।
ঘ. সাতদিনের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে বিশেষভাবে ডাকতে হবে। এ সময়ের মধ্যে তারা সভা ডাকতে ব্যর্থ হলে তলবি বা অনাস্থা প্রস্তাবকারীরা নিজেরাই সভা ডাকবেন।
ঙ. কোন বিশেষ সাধারণ সভায় বা তলবি সভায় কার্যনির্বাহী কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কমিটি বিলুপ্ত হবে। ঐ সভায়ই অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য সর্বোচ্চ ১১(এগার) সদস্যের একটি আহŸায়ক কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটি পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং নবনির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরে বাধ্য থাকবে।
চ. কার্যনির্বাহী কমিটি বা অন্য কোন কমিটির সভায় কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভোটের প্রয়োজন হলে এবং তাতে সমান সংখ্যক ভোট পড়লে (উভয় পক্ষে) সভাপতি দ্বিতীয়বার আরেকটি ভোট প্রদান করবেন, যা নির্ণায়ক ভোট হিসেবে বিবেচিত হবে।
১১. নির্বাচন
ক. স্থায়ী সদস্যদের সরাসরি ভোটে কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচন হবে।
খ. কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন কোন প্যানেল বা পরিষদভুক্ত প্রতিদ্ব›িদ্বতায় অনুষ্ঠিত হবে না।
গ. সংগঠনের যে কোন ভোটাধিকার প্রাপ্ত সদস্য এককভাবে যে কোন পদে প্রার্থী হতে পারবেন। তবে ডিইউজে/বিএফইউজে এবং কোন সিবিএ সংগঠনের নির্বাহী কমিটির কোন কর্মকর্তা/সদস্য সাব-এডিটরস কাউন্সিলে নির্বাহী কমিটির কোন পদে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
ঘ. কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে নির্বাচন পরিচালনার জন্য ৫ সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশন থাকবে। কমিশনের একজন সদস্য চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সংগঠনের সিনিয়র সদস্যদের মধ্যে থেকে অথবা আমন্ত্রণমূলক ব্যবস্থায় নির্বাচনের অন্তত দু’মাস আগে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে।
ঙ. কোন সদস্যই পরপর দু’বারের বেশি কার্যনির্বাহী কমিটির একই কর্মকর্তা পদে অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন না। তবে কমিটির সদস্য হতে বাধা নেই।
চ. সদস্য প্রাপ্তির পর দুই মেয়াদ অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত কেউ সদস্য কিংবা কর্মকর্তা পদে প্রার্থী হতে পারবেন না।
ছ. নির্বাচনের এক মাস আগে কার্যনির্বাহী কমিটি ভোটার তালিকা প্রকাশের উদ্দেশ্যে ভোট প্রদানের যোগ্য সদস্যদের তালিকা নির্বাচন কমিশনে প্রদান করবে। নির্বাচন কমিশন খসড়া ভোটের তালিকা প্রকাশ করবে। এই তালিকা প্রকাশের ৩ দিনের মধ্যে খসড়া ভোটার তালিকার ভুলভ্রান্তি সংশোধন সাপেক্ষে কমিশন চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে।
জ. নতুন সদস্য হওয়ার পর প্রথম নির্বাচনে ভোটাধিকার পাবেন না। পরবর্তী নির্বাচনে তিনি ভোটার হবেন।
ঝ. দুই বছর অন্তর ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পর ১০ দিনের মধ্যে বিদায়ী কার্যনির্বাহী কমিটি নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে।
ঞ. নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে। তফসিলে চ‚ড়ান্ত তালিকা প্রকাশের তারিখ থেকে ভোট গ্রহণের তারিখের ব্যবধান ১০ (দশ) দিনের বেশি হবে না। মনোনয়নপত্র জমাদানের জন্য দুই দিন, মনোনয়নপত্র বাছাই-এর জন্য একদিন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য একদিন এবং ভোট গ্রহণের জন্য একদিন নির্দিষ্ট করতে হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের তারিখের পরদিন চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
ট. প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রে সংগঠনের দু’জন সদস্যের প্রস্তাবনা ও সমর্থন থাকতে হবে এবং কোন সদস্য কার্যনির্বাহী কমিটির ৫টির বেশি সদস্যপদ এবং অন্য কোন কর্মকর্তার একই পদে একাধিক প্রার্থীর প্রস্তাবক অথবা সমর্থক হতে পারবেন না।
ঠ. নির্বাচনে কর্মকর্তা এবং কার্যনির্বাহী সদস্যদের জন্য দুই রংয়ের দুইটি ব্যালট থাকবে। তবে আধুনিক কোন পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে এই বিধান প্রযোজ্য হবে না। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
ড. নির্বাচন কমিশন নির্বাচনকালে প্রার্থীদের জন্য একটি আচরণবিধি প্রণয়ন করবে। প্রার্থীরা এই আচরণবিধি মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন। কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে নির্বাচন কমিশিন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
১২. গঠনতন্ত্র সংশোধন
ক. প্রয়োজনে গঠনতন্ত্রের সংশোধনী আনা যাবে বা সংযোজন ও উপধারা অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। গঠনতন্ত্রের জন্য আনীয়ত প্রস্তাব নির্বাচনের পূর্বে সাধারণ সভার ১৫ (পনের) দিন আগে লিখিতভাবে কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে জমা দিতে হবে।
খ. কোরামপূর্ণ সাধারণ সভায় উপস্থিত দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে সংশোধনী পাস হবে।
গ. নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্ব গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত আহŸায়ক কমিটির সকল কার্যক্রম যেমন নির্বাচন প্রক্রিয়া ও সম্মেলন অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়মসম্মত ও বৈধ বলে বিবেচিত হবে।
ঘ. যে বিষয় বা কার্যক্রম সম্পর্কে গঠনতন্ত্রে লিখিতভাবে উল্লেখ নেই, সে বিষয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
ডিএসইসি কল্যাণ তহবিল
পরিচালনবিধি
প্রারম্ভিক
ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) সদস্যদের কল্যাণে একটি বিশেষ তহবিল গঠন জরুরি হিসেবে বিবেচিত হয়। ডিএসইসির জন্মলগ্ন থেকে এ পর্যন্ত আমরা বেশ কয়েকজন সহকর্মীকে হারিয়েছি। কেউ কেউ নানা কারণে দুরবস্থায় পড়েছেন। এরই প্রেক্ষাপটে ডিএসইসির সাধারণ সভায় গৃহীত বার্ষিক রিপোর্টের আলোকে ডিএসইসির কার্যনির্বাহী কমিটি ২০০৮ সালের ২৩ অক্টোবর কল্যাণ তহবিল গঠন করে। ২০১০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ডিএসইসির কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে তহবিল পরিচালনার জন্য ৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক শাহ মুহাম্মদ মুতাসিম বিল্লাহ, একেএম শাখাওয়াত হোসেন, মামুনুর রশিদ (মামুন ফরাজী)। ২০১১ সালে ‘ডিএসইসি কল্যাণ তহবিল’ নামে পুবালী ব্যাংক আর কে মিশন শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলা হয়। এ অ্যাকাউন্টে ২০০৮-২০১১ সাল পর্যন্ত প্রাপ্ত সদস্যদের চাঁদা ও অনুদান জমা হয়। যা থেকে ডিএসইসির কার্যনির্বাহী কমিটি কয়েকজন অসুস্থ সদস্যকে অনুদান প্রদান করে। ২০১২ সালের ১৫ মে কার্যনির্বাহী কমিটি ডিএসইসির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শহীদুল ইসলামকে আহ্বায়ক, ডিএসইসির যুগ্ম সম্পাদক মোঃ শাহজাহান মিঞাকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং জোবায়ের আহমদ নবীন, মেহেদী হাসান, একেএম আতিকুর রহমান, মাসুদ রুমি, ইদ্রিস মাদ্রাজী, শাহ মতিন টিপু ও তানজিমুল নয়নকে সদস্য করে কল্যাণ তহবিল আহ্বায়ক কমিটি পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। এই কমিটি কল্যাণ তহবিলের একটি পরিচালনবিধি প্রণয়ন করে কার্যনির্বাহী কমিটিতে উপস্থাপন করে।
প্রস্তাবনা
১. কল্যাণ তহবিলের নামে ‘ডিএসইসি কল্যাণ তহবিল’, যা ইংরেজিতে ‘উঝঊঈ কধষষধুধহ ঞধযধনরষ’ হিসেবে পরিচিত হবে।
২. এই তহবিল একটি কল্যাণ ও উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ। ডিএসইসির একটি বিশেষ কার্যক্রম হিসেবে এটি পরিচালিত হবে।
৩. তহবিলের কার্যালয় : ৮/৪-এ তোপখানা রোড, সেগুনবাগিচা, ঢাকা-১০০০ (ডিএসইসি অফিস)
৪. কখনো কল্যাণ তহবিলের বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত হলে এর দায়-দেনা ও সম্পদ-সম্পত্তির হিসাব নিস্পত্তি করে তহবিল সদস্যদের মধ্যে বণ্টনের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে কল্যাণ তহবিলের ৯০ শতাংশ সদস্যের সম্মতি ব্যতিরেকে কোনোভাবেই তহবিল বিলুপ্ত হবে না।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
১. তহবিলের সদস্যদের কল্যাণ সাধনে ব্রতী হওয়া এর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
২. এই তহবিলের সদস্যগণই এর সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার অধিকারী বলে গণ্য হবেন।
৩. সমস্যাগ্রস্ত সদস্যদের পুনর্বাসন, চিকিৎসা ও আইনগত সহায়তা প্রদানসহ পারিবারিক কল্যাণে তৎপর হওয়া।
৪. সমস্যাগ্রস্ত সদস্যদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য বৃত্তি প্রদান, সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান করা।
৫. রোগগ্রস্ত সদস্যদের চিকিৎসায় সহযোগিতা করা।
৬. প্রবীণ সদস্যদের জন্য প্রবীণ নিবাস প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করা।
৭. দান, অনুদান, মঞ্জুরি, চাঁদা ও ফিস সংগ্রহ করে তহবিল গঠন করা। অর্থ, ইমারত ও অন্যান্য সম্পত্তি অনুদান হিসেবে গ্রহণ করা।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
১. এই তহবিলের যাবতীয় অর্থ ব্যাংকে কল্যাণ তহবিলের নিজস্ব অ্যাকাউন্টে জমা রাখতে হবে।
২. ডিএসইসির এককালীন অনুদান, যে কোনো দানশীল ব্যক্তি, সংস্থা, সরকার কিংবা বিদেশি কোনো ব্যক্তি ও সংস্থার অনুদান বা মঞ্জুরি সম্মানজনক শর্তের ভিত্তিতে হলে তা গ্রহণ করা যাবে।
৩. কল্যাণ তহবিলের সদস্যদের এককালীন বা মেয়াদি চাঁদার মাধ্যমে তহবিল গড়ে তোলা হবে।
৪. কল্যাণ তহবিলের সদস্যদের এককালীন ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা। এককালীন চাঁদা পরিশোধের পর ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সদস্যপদ কোন কারণে যদি স্থগিত অথবা সদস্যপদ বাতিল হয়, এরপর নতুন করে সদস্য হলে এককালীন চাঁদা আর দিতে হবে না।
৫. কল্যাণ তহবিলের সদস্যদের বার্ষিক চাঁদা ২০(বিশ) টাকা।
৬. তহবিলের আয়বর্ধনের জন্য এক বা একাধিক বাস্তবধর্মী, গঠনমূলক এবং সর্বোপরি সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত প্রকল্প বা কার্যপদ্ধতি গ্রহণ করা যাবে।
সদস্য
ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) সদস্যরা এককালীন চাঁদা পরিশোধ করে ডিএসইসি কল্যাণ তহবিলের সদস্য হবেন।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
১. ৭ সদস্যের পরিচালনা বোর্ড ডিএসইসি কল্যাণ তহবিল পরিচালনা করবে। ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের নির্বাচিত কমিটির সহ-সভাপতি পদাধিকার বলে কল্যাণ তহবিল পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান থাকবেন। কল্যাণ সম্পাদক কল্যাণ তহবিলের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
২. কমিটির বাকি ৫ সদস্যের মধ্যে ৩ জন থাকবেন নির্বাচিত কমিটির (ক) সভাপতি, (খ) সাধারণ সম্পাদক এবং (গ) কোষাধ্যক্ষ। বাকি দুই সদস্য কল্যাণ তহবিলের সিনিয়র সদস্যদের মধ্য থেকে নিয়োগ করা হবে। কল্যাণ তহবিলের চেয়ারম্যাণ সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের নিয়োগ দেবেন।
৩. ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটি যেদিন দায়িত্ব গ্রহণ করবে সেই দিনই কল্যাণ তহবিলের বিদায়ী পরিচালনা বোর্ড নতুন পরিচালনা বোর্ডের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে।
৪. পরিচালনা বোর্ডের মেয়াদ হবে এক বছর। জানুয়ারি-ডিসেম্বরকে কল্যাণ তহবিলের আর্থিক বছর হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
৫. পরিচালনা বোর্ডের কোনো পদ শূন্য হলে সহযোজনের মাধ্যমে তা পূর্ণ করা হবে।
৬. পরিচালনা বোর্ডের সদস্যগণ বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।
৭. পরিচালনা বোর্ডের কাজের সুবিধার জন্য বোর্ডের সদস্য ও প্রয়োজনে বোর্ডের বাইরের সদস্য নিয়ে এক বা একাধিক টিম গঠন করা যাবে এবং ওই টিমকে নির্ধারিত বিশেষ দায়িত্ব অর্পণ করা যাবে।
চেয়ারম্যান
কল্যাণ তহবিলের চেয়ারম্যান এই তহবিলের মুখপাত্র। তহবিলের সকল সভা তিনি আহŸান করবেন। তিনি সভায় সভাপতিত্ব করবেন, শৃঙ্খলা রক্ষা করবেন এবং সভার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন।
ভাইস চেয়ারম্যান
চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে কল্যাণ তহবিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন ভাইস চেয়ারম্যান। এছাড়া তিনি চেয়ারম্যানের কাজে সহযোগিতা করবেন। তিনি তহবিলের হিসাব সংরক্ষণ করবেন।
পরিচালনা বোর্ডের সভা
১. প্রতিমাসে পরিচালনা বোর্ডের কমপক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে।
২. দুই দিনের নোটিশে এই সভা আহŸান করা হবে। জরুরি পরিস্থিতিতে একদিনের নোটিশে এবং অতি জরুরি পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিকভাবে সভা অনুষ্ঠিত হবে।
হিসাব পরিচালনা
১. সরকার অনুমোদিত ব্যাংকে ডিএসইসি কল্যাণ তহবিলের নামে সঞ্চয়ী হিসাব থাকবে। কল্যাণ তহবিলের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের যৌথ স্বাক্ষরে হিসাব পরিচালিত হবে।
২. তহবিল পরিচালনায় কোন খাতে বরাদ্দ ব্যতীত কোনো নগদ অর্থই পরিচালনা বোর্ডের কোনো সদস্যের কাছে থাকবে না।
হিসাব নিরীক্ষণ
স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান বা কল্যাণ তহবিলের সাধারণ সদস্যদের নিয়ে গঠিত ৩ সদস্যের একটি প্যানেল দিয়ে তহবিলের হিসাব নিরীক্ষণ করা হবে।
তহবিলের কর্মপ্রক্রিয়া
১. কল্যাণ তহবিলের সক্রিয় কোনো সদস্যের মৃত্যু হলে তার পরিবার এই তহবিল থেকে এককালীন ৫০ হাজার টাকা অনুদান লাভ করবেন। পরবর্তী সময়ে এই অনুদানের পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে। কেউ চাকরিচ্যুত হয়েছে অথবা চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন কিন্তু অন্য পেশায় যোগ দেননি এমন সদস্যের ক্ষেত্রে এই সুবিধা প্রযোজ্য হবে। তবে কেউ যদি এই পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় চলে যান সেক্ষেত্রে তিনি এই সুবিধা পাবেন না।
২. কোনো সদস্য বিশেষ করে বেকার, অসচ্ছল হলে পরিচালনা বোর্ড প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
৩. কল্যাণ তহবিলের পরিচালনা বোর্ড দায়িত্ব গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত আহŸায়ক কমিটির সকল কার্যক্রম বৈধ বলে বিবেচিত হবে।
উপদেষ্টা পরিষদ
ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে কল্যাণ তহবিলের উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হবে। কল্যাণ তহবিল পরিচালনা বোর্ড দায়িত্ব গ্রহণের পর উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করা হবে। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা এই পরিষদের একজন সভাপতি নির্বাচন করবেন। তিনি উপদেষ্টা পরিষদের সভা আহŸান ও সভায় সভাপতিত্ব করবেন। উপদেষ্টা পরিষদ কল্যাণ তহবিলের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে কল্যাণ তহবিল পরিচালনা বোর্ডকে পরামর্শ দেবেন। কল্যাণ তহবিল পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবেন।
পরিচালনবিধি সংশোধন
১. প্রয়োজনে পরিচালনবিধি সংশোধন বা সংযোজন করা যাবে। সংশোধনীর জন্য আনীত প্রস্তাব ডিএসইসির কার্যনির্বাহী কমিটিতে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সম্মতিতে গৃহীত হবে।
২. যে বিষয় বা কার্যক্রম সম্পর্কে গঠনতন্ত্রে লিখিতভাবে উল্লেখ নেই, সে বিষয়ে পরিচালনা বোর্ডের প্রস্তাব ডিএসইসির কার্যনির্বাহী কমিটিতে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সম্মতিতে গৃহীত হবে।
পরিচালনায় সতর্কীকরণ
কল্যাণ তহবিল পরিচালনায় কোনো স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নেয়া যাবে না। কোনো কমিটি কল্যাণ তহবিলের অর্থ বিতরণে অনিয়ম/তছরুপ করলে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা হবে।
(২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় পঠিত সংশোধনীসহ গঠনতন্ত্র)